কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জিতল বাম, দলিত এবং আদিবাসী সংগঠনের জোট। কেন্দ্রীয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএফআই এবার ‘দলিত স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ (ডিএসইউ), ‘অম্বেডকর স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’ (এএসএ) ও ‘ট্রাইবালস স্টুডেন্টস ফোরাম’ (টিএসএফ)-এর সঙ্গে জোট করেছিল।
অন্য দিকে বিজেপি সমর্থক ছাত্র সংগঠন এবিভিপি জোট করেছিল ‘আদার ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস ফেডারেশন’ (ওবিসিএফ) এবং নবগঠিত ‘সেবালাল বিদ্যার্থী দল’-এর সঙ্গে। কিন্তু তাতে তাদের জয় মেলেনি| এসএফআই-সহ চার দলের জোটের কাছে হার হয়েছে এবিভিপি জোটের। ছাত্র সংসদের সব পদেই বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছ বাম, দলিত এবং আদিবাসী সংগঠনের জোট। ফলে ছাত্র সংসদের নেতৃত্ব হাত ছাড়া হয়েছে এবিভিপির।
গত ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন ছিল। প্রায় ৭৫ শতাংশ ভোট পড়ে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর| কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভোট গণনার পরে শুক্রবার রাতের দিকে ফল ঘোষণা করা হয়। দেখা যায় ছাত্র সংসদের সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক-সহ সব পদই দখল করেছে বাম, দলিত এবং আদিবাসী ছাত্র সংগঠনের জোট।
গত নির্বাচনে এসএফআই আলাদা লড়েছিল। আদিবাসী, দলিত, বহুজন এবং মুসলিম ছাত্র সংগঠনগুলি আলাদা জোট করেছিল। ত্রিমুখী লড়াইয়ে এবিভিপি জিতে আট বছর পরে ছাত্র সংসদের ক্ষমতায় এসেছিল। এবার ক্ষমতা থেকে সরতে হল তাদের। এবার সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন এসএফআই-এর অভিষেক নন্দন। সহ-সভাপতি হয়েছেন ডিএসইউ-এর এম শ্রীচরণ। এএসএ-র গোপী স্বামী সাধারণ সম্পাদক এবং টিএসএফ-এর রাঠোড় প্রদীপ যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন।
বছর তিনেক আগে দলিত গবেষক রোহিত ভেমুলা এই হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আত্মহত্যা নিয়ে হইচই হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে, এবিভিপির সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধের জেরে কর্তৃপক্ষ রোহিতকে বরখাস্ত করলে তিনি আত্মঘাতী হন। এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, ‘‘রোহিত ভেমুলার স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমাদের কর্তব্য। এই অন্ধকার সময়ে জেএনইউ, পন্ডিচেরি বিশ্ববিদ্যালয়ে জেতার পরে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়েও জয়।’’ তিনি জানান, এই জয় সামাজিক ন্যায়ের পক্ষে এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে জয়।
সংবাদ সৌজন্য – আনন্দবাজার পত্রিকা, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯|